• ৫ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Governor

কলকাতা

‘বাংলার দত্তক সন্তান হতে চাই’—ভোটার তালিকায় নাম চান রাজ্যপাল, আলোড়ন রাজ্যে

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বাংলার ভোটার হতে শেষ মুহূর্তে আবেদন করলেন। বৃহস্পতিবার এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিনেই লোকভবনে গিয়ে বিএলও এবং সুপারভাইজারদের হাতে আবেদনপত্র তুলে দেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়, তিনি বাংলার দত্তক সন্তান হতে চান। রবীন্দ্রনাথের বাংলায়, নেতাজির আদর্শে বড় হওয়া বাংলার সঙ্গে মানসিক ভাবে যুক্ত থাকতে চান তিনি। নিজে বোস পদবীর মানুষএই বাংলার ভোটার হওয়ার ইচ্ছা তাঁর অনেক দিনের।চৌরঙ্গী বিধানসভার ১৬২-র ৩৮ নম্বর পার্টের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর নাম তোলা হবে। আজ সকালে ওই এলাকার বিএলও গৌরাঙ্গ মালাকার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি ও ফর্ম নেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুপারভাইজার অশোক তিওয়ারি ও জয়ন্ত ঘোষ। গৌরাঙ্গবাবু জানান, আগেই তাঁরা ফর্ম দিয়ে গিয়েছিলেন। এবার রাজ্যপাল নিজে নতুন ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছেন।রাজ্যপাল হয়ে বাংলায় এসে আনন্দ বোস বারবারই জানিয়েছেন, বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর গভীর টান আছে। বাংলা শেখার চেষ্টা করেছেন, সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে হাতে খড়িও নিয়েছেন। তাঁর দায়িত্বের শুরুতে রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল, রাজভবন ও রাজ্যের সম্পর্ক হয়তো স্বাভাবিক থাকবে। তবে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং সেই সম্পর্কে ভাঙন দেখা দেয়।প্রথমে শোনা গিয়েছিল, তিনি কেরলের ভোটার হওয়ায় বাংলার ভোটার হতে চান না। কিন্তু পরে মত বদলে তিনি আগ্রহ দেখান। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপাল চাইলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভোটার হতে পারেন। শুধু লোকভবন থেকে নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি গেলেই তাঁর নাম ভোটার তালিকায় যোগ হয়। সাধারণ নাগরিকের মতো যাচাইপ্রক্রিয়াও নেই।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
কলকাতা

ঔপনিবেশিক নামের অবসান, বাংলার রাজভবন এখন জনগণের ‘লোক ভবন’

বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস-এর আবেদনে এবার সিলমোহর দিল কেন্দ্র। দীর্ঘদিনের ঔপনিবেশিক ছাপ সরিয়ে রাজভবনের নতুন নাম ঠিক হল লোক ভবন। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের পর ইতিমধ্যেই রাজভবনের এক্স হ্যান্ডেলের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে লোকভবন। সেই এক্স হ্যান্ডেল থেকেই নতুন নামকরণের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় যোগ তৈরি করতেই এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঔপনিবেশিক নাম ছেড়ে এবার মানুষের রাজভবন হিসেবেই পরিচিত হতে চলেছে লোক ভবন।

নভেম্বর ২৯, ২০২৫
রাজ্য

দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথে ধনখড়ের দ্বারস্থ বিধানসভার অধ্যক্ষ, জটিলতা জারি

দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণের জট কাটাতে এবার উপরাষ্ট্রপতি তথা প্রাক্তন রাজ্যপালকে ফোন করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমন বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে কিছুতেই কাটছে না জটিলতা। এবার উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজভবন এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে দড়ি টানাটানি তুমুল পর্যায়ে পৌঁছেছে।একদিকে তৃণমূলের নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক চাইছেন বিধানসভায় শপথ নিতে। পাশাপাশি রাজ্যপাল চাইছেন বিধায়করা শপথ নিন রাজভবনে। বিধানসভায় শপথ নিতে চেয়ে তৃণমূলের দুই বিধায়ক রাজভবনে চিঠি দিয়েছেন। তবে সিভি আনন্দ বোসও পাল্টা চিঠিতে তাঁদের জানিয়েছেন বিধায়কদের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজ্যপালই শেষ কথা বলবেন।এদিকে এর মাঝেই আজ উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে দীর্ঘ সময় তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় এর আগে বাংলার রাজ্যপাল পদে আসীন ছিলেন। তিনি রাজ্যপাল থাকার সময় নানা জটিলতা, সংঘাত তৈরি হয়েছিল রাজ্যের সঙ্গে। পরে বিধানসভায় এসে উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান তিনি। এখন তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে আসীন। তিনি এরাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি যাতে বর্তমান রাজ্যপালকে বিধানসভায় এসে নতুন বিধায়কদের শপথ গ্রহণের অনুরোধ জানান, সেই কারণেই এদিন ধনখড়কে ফোন করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝেই রাজ্যপালকে সরাসরি নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজভবনে যা চলছে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। তৃণমূলের নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক চাইছেন বিধানসভায় শপথ নিতে। তবে রাজ্যপাল চাইছেন বিধায়করা শপথ নিন রাজভবনেই। বিধানসভায় শপথ নিতে চেয়ে তৃণমূলের দুই বিধায়ক ইতিমধ্যেই রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছেন।তবে সিভি আনন্দ বোসও পাল্টা চিঠিতে তাঁদের জানিয়েছেন, বিধায়কদের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজ্যপালই শেষ কথা বলবেন। বিধানসভা নয়, দুই বিধায়ককে শপথ নিতে হবে রাজভবনেই। তাঁর নির্দেশ অমান্যে বিধায়কদের জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল।উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভগবানগোলা এবং বরানগর কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবনির্বাচিত এই দুই বিধায়ককে শপথ নেওয়ার জন্য রাজভবনে যেতে বলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

জুন ২৮, ২০২৪
রাজ্য

রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, রাজভবনে যাবেন না মমতা

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। যা ঘিরে আজ ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করলেন সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এবার থেকে কোনও কাজে আর রাজভবনে যাবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে কোথায় তিনি যাবেন তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলনেত্রী।মাননীয় রাজ্যপাল! আমার কী দোষ আপনি বলুন। আমি তো জানিই না ঘটনা পুরো। রাজ্যপালের তো পদত্যাগ করা উচিত। মহিলাদের উপর নির্যাতন করার আপনি কে? প্রেসকে ডেকে এডিট করে কিছু ভিডিও দেখিয়েছে। পুরোটা কি দেখিয়েছে? কপিটা আমার কাছে আছে। এখনও তো সব বেরোয়নি। আর একটা পেনড্রাইভ পেয়েছি। আরও কেলেঙ্কারি। বাবারে! আমাকে এখন রাজভবনে ডাকলে আমি আর যাব না। আমাকে রাস্তায় ডাকলে যাব। রাজ্যপালের কথা বলতে হলে আমাকে রাস্তায় ডাকবেন। রাস্তায় গিয়ে কথা বলে আসব। রাজভবনে আর যাব না। যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি শুনছি তাতে আপনার পাশে বসাটাও পাপ।উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আবহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ উঠেছে। রাজভবনেরই এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। দুবার রাজভবনের পিস রুমে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন সিভি আনন্দ বোস, এমনই অভিযোগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন ওই মহিলা। যদিও রাজ্যপাল নিজে অবশ্য। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে পাল্টা সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সেই ভিডিও নিয়েও তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এডিট করে ওই ভিডিও প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

মে ১১, ২০২৪
রাজ্য

রাজ্যপাল থেকে কুণাল ইস্যু, সাতসকালে নিজস্ব মেজাজে দিলীপ ঘোষ

শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃ ভ্রমণে আসেন বর্ধমান -দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃ ভ্রমণকালীন স্বমহিমায় প্রাক্তন বঙ্গীয় বিজেপি সভাপতি, দিলেন বর্তমান ইস্যু সম্বন্ধীয় একের পর এক প্রশ্নের উত্তরঃরাজ্যপাল ইস্যুঃতৃণমূল কংগ্রেস এই সমস্ত ব্যাক গ্রাউন্ড তৈরি করেছে। এগুলো তারাই করছে। সবাই জানে এই লোকেরা এই কারণেই ওখানে গেছে। পুরো স্ক্রিপ্ট তৈরি ছিল। তৃণমূল একাই চেঁচাচ্ছে। আর কারুর কোনো টেনশন নেই। কারণ আর সবাই জানে এর পিছনে কে আছে। তৃণমূল এবং সরকারের অপকীর্তির বিরুদ্ধে বললে এটা হয়। ওনার বিরুদ্ধে এখনও কোনো কেস করতে পারেনি ওরা। কালো পতাকা দেখিয়েছে, গো ব্যাক বলেছে। কিছু হয়নি। এখন এটাই শেষ অস্ত্র। তৃণমূল কথায় মহিলা মহিলা বলে। মহিলাদের সম্মান করেনা। তাদের ব্যবহার করে। এখানেও একজন মহিলাকে ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশ তো তদন্ত কমিটি করবেই। আমার বিরুদ্ধে আপনি একটা অভিযোগ করুন। তদন্ত দল তৈরি হয়ে যাবে। বাকি হাজার কোটি লুঠ খুন ধর্ষণ সেখানে কতজন গ্রেফতার হয়েছে? তারা বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতাকে জুতোপেটা করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ কি করেছে? পুলিশের কি যোগ্যতা? এবং সরকারের কি ইচ্ছা, সবই আমরা জানি। সম্মানীয় মানুষকে কীভাবে অপমান করতে হয়, তৃণমূল তা দেখিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি সহ কাউকেই অপমান করতে ছাড়েনি। এমনকি হাইকোর্টের মহিলা বিচারকের স্বামী কে সিআইডি দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছে। তৃণমূলের এই নিকৃষ্ট রাজনীতি একদিন তাদের পতনের কারণ হবে।কুনাল ঘোষ ইস্যুঃএসব মক ফাইট। এসব নিয়ে আমরা ভাবছি না। অন্নদাস দের কথার গুরুত্ব নেই। ওই বাড়িতে থাকব, খাবো, লাথি খাবো। ওখানেই থাকব। আবার মুখ খুলব, দুটো একসঙ্গে হতে পারে না। রাস্তায় নামুন। দম থাকলে বেরিয়ে এসে লড়াই করুন। পার্থ চ্যাটার্জি অনেক কিছু বলেছেন কুনাল নিয়ে। এটা ওদের পুরোনো ঝগড়া, বাড়ির ঝগড়া, স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া কেউ রাস্তায় নিয়ে আসে?৭ মে মুর্শিদাবাদে ভোটঃওখানে আইন শৃংখলা বলে কিছু নেই। মুর্শিদাবাদ কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করার চেষ্টা চলছে। সমস্ত ক্রিমিনাল এবং অ্যান্টি ন্যাশনাল অ্যাকটিভিটি ওখানে চলছে। তৃণমূল চায় ভোট টা ওদের দিয়ে দিক। বাকি যা খুশি হোক।বিজেপি কর্মীদের ওপর সিউড়িতে হামলাঃনতুন কিছু নয়। ভয় দেখানোর চেষ্টা। এই ভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেই আজ বিজেপি এই জায়গায় পৌঁছেছে। এবার লাস্ট ধমক চমক চলছে। এরপর কি হবে আমরা ঠিক করব।দুই থানার ওসি বদলঃআরও অনেকে আছে। বর্ধমান জেলায় এরকম দুজন আছে। তাদেরকে আরও বেশ কিছু বছর চাকরি করতে হবে। দিদির আঁচলের তলায় বেশিদিন বসে থাকতে পারবেন না। তারপর খোলা মাঠে আসতে হবে। তখন আমরা হিসেব বুঝে নেব।

মে ০৪, ২০২৪
রাজ্য

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

বর্ধমানের গন্তারে তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারকে সমর্থনে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, বিজেপির অপশাসনে সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, কেবলমাত্র সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। বিজেপি এবং সিপিআইএম একজোট হয়ে আমাদের রাজ্যের ২৬,০০০ মানুষের থেকে চাকরি কেড়ে নিয়েছে। তাই সিপিআইএম-কংগ্রেস-বিজেপির এই জনবিরোধী জোটকে প্রতিহত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন আমাদের ১,৫০০ পুলিশ কর্মীকে অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়েছে কিন্তু তাদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান থেকে বিরত রেখেছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন। আমি কথা দিচ্ছি, যদি তাঁরা ভোটদান না করতে পারে তাহলে আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো।বৃহস্পতিবার রাজভবনে এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি নারীদের নিয়ে খুব বড় বড় ভাষণ দেন। কিন্তু রাজ্যপালের রাজভবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাখ্যা কী? সেই অসহায়, নিষ্পাপ মেয়েটির কী দোষ ছিল? লজ্জা লাগছে আমার! ছিঃ! বিজেপির কালো শাসনে আমরা কেউ ভালো নেই, আমাদের সকলকে ভালো থাকতে হবে।যদিও অভিযোগের পর পরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, সত্যের জয় হবেই। আমি কারও চক্রান্তকে ভয় করি না। কেউ যদি আমার নামে কুৎসা করে নির্বাচনী সুবিধা পেতে চায়, ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। কিন্তু তাঁরা বাংলায় দুর্নীতি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবে না।

মে ০৩, ২০২৪
কলকাতা

"সত্যের জয় হবেই, বাংলায় দুর্নীতি ও হিংসার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামবে না", অভিযোগের পর বিবৃতি রাজ্যপালের

রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলো। রাজভবনের এক অস্থায় মহিলা কর্মী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনেছেন। যদিও রাজভবনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে নির্বাচনে ফায়দা তোলার জন্য এমন অভিযোগ করা হয়েছে।রাজভবন থেকে এক বিবৃতিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, সত্যের জয় হবেই। আমি কারও চক্রান্তকে ভয় করি না। কেউ যদি আমার নামে কুৎসা করে নির্বাচনী সুবিধা পেতে চায়, ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। কিন্তু তাঁরা বাংলায় দুর্নীতি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবে না।Truth shall triumph. I refuse to be cowed down by engineered narratives. If anybody wants some election benefits by maligning me, God Bless them. But they cannot stop my fight against corruption and violence in Bengal. Raj Bhavan Kolkata (@BengalGovernor) May 2, 2024এই ঘটনার তৃণমূল কংগ্রেস রেরে করে নেমে পড়েছে। তয়ঁদের বক্তব্য, এই রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকবেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় সরকার।

মে ০২, ২০২৪
রাজ্য

'ক্রিকেটে ইন্ডিয়া হেরে গিয়েছে, বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের অবস্থা আরও খারাপ,' দাবি দিলীপ ঘোষের

ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে শিল্প সম্মেলন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না প্রাক্তন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি। এদিন কি বলেছেন তিনি?রাজ্যপালকে বাদ দিয়ে বাণিজ্য সম্মেলন:ওনাকে বাদ দিয়ে যদি শিল্প আসে তাহলে ভালো। উনি সবাইকে নিয়ে চলার ডাক দিচ্ছেন। উনি বলেছেন প্রয়োজনে বিরোধীদের সঙ্গে নিতে। এর আগে যে ৭ বার সম্মেলন হয়েছে তার নেট ফল তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না। উনি দুটি কুমির ছানা বারবার দেখান। তাজপুর বন্দর এবং দেউচা পাঁচামি। এখনও টেন্ডার পাল্টানো হচ্ছে। আদানি হাত তুলে নিয়েছে। আর কি কেউ করবে?লোকসভার লক্ষ্যে আজ বৈঠকে তৃণমূল:দলের ভিতরের ব্যাপার। দলে কজন আছে। পার্টি কিভাবে চলবে, এই নিয়েই কথা হবে।অমিত শাহর সভা রুখতে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য:রাজ্য ভাবছে সভা আটকে বিজেপি কে আটকাবে। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যায়না।রাজ্যে নিয়মিত শ্যুট আউট:এ রাজ্যে জীবন ও সম্পত্তির কোনো নিশ্চয়তা নেই। সেখানে শিল্প সম্মলেন করে কি হবে? কে আসবে রাজ্যে? আগে ইমেজ ঠিক করুন।বামেদের ব্রিগেডে রাজ্যের আপত্তি:কে কার জোট? ক্রিকেট ইন্ডিয়া হেরে গেছে। এই ইন্ডিয়া জোটের অবস্থা আরও খারাপ। কেউ সভা করতে চাইলে আটকাতে চেষ্টা করেন ও কোর্টে গিয়ে হেরে যান। এভাবে গণতান্ত্রিক দেশে কাউকে আটকানো যায় না।

নভেম্বর ২৩, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যপালের আশ্বাসে আপাতত ধরনায় ইতি তৃণমূলের, তবে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন অভিষেক

২০ মিনিট রাজ্যপাল-অভিষেক বৈঠক। তারপর তুলে নেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা। মমতার নির্দেশে ধরনা তুলে নেওয়া হয় বলে জানান অভিষেক ল। তবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের বকেয়া টাকা না পেলে ফের পথে নামবে তৃণমূল। পাশাপাশি আইনি পথেও হাঁটবে দল, ঘোষণা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। এদিনই আবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উদ্দেশে তিনটি চোখা চোখা বাক্যবাণ ছুড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জোড়-ফুলের বিশ্বাস এতেই চাপে পড়বেন রাজ্যপাল।রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা এবং তাঁদের দাবি বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। এই প্রতিনিধি দলে ৭ জন ভুক্তভোগীও ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, বাংলার ২১ লক্ষের বেশি মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেও তাঁদের হকের টাকা পাননি। সেই অর্থ কেন্দ্রের থেকে আদায়ে তদারকি করুক রাজ্যপাল। এই প্রসঙ্গে তিনটি প্রশ্ন রাজ্যপালের কাছে রেখেছে তৃণমূল।১) এটা কি ঠিক নয় যে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে বাংলার ২১ লাখের বেশি মানুষ শ্রম ও সময়দান করেও তাঁদের হকের পারিশ্রমিক পাননি? দুবছর পরেও২) সব শর্ত ও নিয়ম মেনেই বাংলার এইসব বঞ্চিত মানুষগলো কাজ করেছেন। কেন তাহলে দুবছরের বেশি সময় ধরে তাঁদের প্রাপ্য আটকে রাখা হল? কেনইবা কেন্দ্রীয় সরকার এঁদের অস্বিত্ব অস্বীকার করছে?৩) ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের ২ নং শিডিউলের ২৯ নম্বর ধারায় সাফ বলা রয়েছে যে, শ্রমিকরা মাস্টার রোল শেষের ১৫দিনের মধ্যে পারিশ্রমিক পাবেন। অন্যথায় ১৬তম দিন থেকেই প্রত্যহ ০.০৫ শতাংশ হারে সুদ যুক্ত হবে। এই অনুসারে পারিশ্রমিক না পাওয়া মানুষগুলো শুধু তাঁদের বিগত ২ বছরের পারিশ্রমিকই নয়, সেই অর্থ সুদ সহ পাওয়ার অধিকারী। তাহলে কী কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার এই গরিব মানুষগুলোকে তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছেন না?তৃণমূল সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া টাকা নিয়ে তিনি পদক্ষেপ করবেন বলে এদিনের বৈঠকে কথা দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্যপালও বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন।

অক্টোবর ০৯, ২০২৩
রাজনীতি

উনি (রাজ্যপাল!) ছোটো ছোটো পুতুল নিয়ে খেলছেন: ব্রাত্য বসু

শুক্রবার বিকালে বিকাশ ভবনে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের রেজিস্টারদের নিয়ে বৈঠক করলেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন বিকাশ ভবনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১২টা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টাররা। ছিলেন আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, কাজী নজরুল, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি ওপেন, মুর্শিদাবাদ, রায়গঞ্জ, যাদবপুর, পঞ্চানন বার্মা, ডায়মন্ড হারবার, কন্যাশ্রী, কল্যাণী ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধিরা।ব্রাত্য বসু বলেন, রেজিস্টারদের সঙ্গে রুটিন বৈঠক করেছি। এর আগেও ভিসিদের বৈঠক সঙ্গে করেছি। ইউনিভার্সিটিতে কি কি সমস্যা আর কিকি প্রয়োজন। আর পড়াশোনা কেমন চলছে? সেই নিয়েই মূলত বৈঠক।রাজ্যপালে ভূমিকা প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, উনি ছোট ছোট পুতুল নিয়ে খেলছেন। যারা পুতুল হয়ে থাকতে চান তাদের বলবো একাডেমীর কথা ভাবুন। রাজ্য যে সম্মান দিচ্ছে সেটা ভাবুন। আপনারা কালকে যোগী নন। উচ্চ শিক্ষাকে নষ্ট করে দিয়ে যায় এই খেলায় কেন আপনারা সামিল হবেন। উনি বাংলার শ্রেষ্ঠত্ব ভাঙতে চাইছেন। মমতা ব্যানার্জি যতদিন আছেন এই মেরুদন্ড উনি ভাঙতে পারবেন না।আজ গোয়ালিয়র ঘাটে রাজ্যপালের সঙ্গে যে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা ছিলেন তাদের বলব একবার ভেবে দেখুন, আপনারা কিন্তু কালকা যোগী নন। পুতুল নাচের ইতিকথা কবে শেষ হবে জানি না। বলেন শিক্ষামন্ত্রী।রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যার বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, উনি বলতে চান উনি নিজে যাঁদের নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁরা ধোয়া তুলসী পাতা বাকি সব অসৎ। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু অর্থনৈতিক অবরোধের কথা বলেছেন , কোনও অধ্যাপকের বেতন বন্ধ হবে বলে জানাননি। সিপিএম এমন হলে হয়তো সন্তোষ দত্তের মত সমস্ত উপাচার্যকে বাড়ি থেকে কাজ করতে হতো কিন্তু আমরা তা করছি না তবে ধৈর্যের একটা সীমা আছে।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ‘দালাল’, সম্বোধন করে নিশানা মমতার

ফের নবান্ন রাজভবন সংঘাত চরমে। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে রাজযপালের একের পর এক সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের লাগাতার আক্রমণ। আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বেনজির আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। দালাল বলতেও ছাড়লেন না সিভি আনন্দ বোসকে।বুধবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বকেয়া অর্থ না পাওয়া, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলাকে টাকা না দেওয়া, আবাস যোজনা নিয়ে এদিন আগাগোড়া মোদী সরকারকে তোপ দাগতে থাকেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনও উপাচার্য নেই। নেই রেজিস্ট্রারও। কৃতী পড়ুয়ারা সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না। এ জন্য আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি জানি ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যেটা তরি হয়েছে আমাদের গভর্নর মহাশয়, তিনি এখন কালো চশমা পড়ে- সেটা অবশ্য তিনি পড়তেই পারেন একটার জায়গায় দশটা, জ্ঞান দিয়ে বেরাচ্ছেন। আমরা পাঠালেও করেনা। নিজের ইচ্ছামত কেরালা থেকে লোক এনে ঢুকি দিচ্ছে (উপাচার্য)। কেরালার অনেক বন্ধু আমার এখানে থাকে, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভিসি হতে গেলে ১০ বছর তাঁর প্রফেসর হিসাবে অভিজ্ঞতা থাকা উচিত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে ভিসি করেছেন যিনি কেরালায় আইপিএস ছিলেন, যাঁর এডুকেশনের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এখানে ঝাড়গ্রাম ইউনিভার্সিটি করে দিয়েছি। কিন্ত না আছে কোনও উপাচার্য, না আছে কোনও রেজিস্ট্রার। তার কারণ পাঠালেই উনি উনি ওনার মত বিজেপির একটা লোককে বসিয়ে দেবেন। এরপরই মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ যে, ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনের জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে যেন অবিলম্বে তিনটি সুপারিশ করে দেওয়া হয়।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমি সব করে দিচ্ছি, আর উনি (রাজ্যপাল) দালালি করে সব আটকে দিচ্ছেন। আমরা এটা মানবো না। স্ট্রেট মানবো না।এদিন রাজ্যপাল আনন্দ বোসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে যেটা বিধানসভায় পাস হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী সব রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হবে তবে সেটা পাস করিয়ে দিন।

আগস্ট ০৯, ২০২৩
রাজ্য

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল

অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শনিবার ভর্তি করা হল হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, এদিন তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এর নীচে নেমে গিয়েছিল। কমে গিয়ছিল পটাশিয়ামের মাত্রাও। এদিন সকাল ১১টা থেকেই তাঁর সমস্যা শুরু হয়। সেই কারণেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সৌতিক পণ্ডা, সুস্মিতা দেবনাথ, আশিস পাত্র, অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, সপ্তর্ষি বসু ও সরোজ মণ্ডলের মত পালমোনোলজিস্ট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার, মেডিসিন-সহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে আট সদস্যের এক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এই মেডিক্যাল টিমই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেই চিকিৎসা করছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সি-প্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে।তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল শনিবার সংস্কৃত কলেজের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে তিনি খবর পান। তারপর সেখান থেকে সোজা চলে যান হাসপাতালে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার পর রাজ্যপাল জানান, দক্ষ চিকিৎসকরা তাঁর দেখভাল করছেন। আশা করা যায়, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। সিপিএমের তরফে রবীন দেবও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অক্সিজেনের মাত্রা বর্তমানে স্বাভাবিকের পথে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দিকে। হাসপাতালের তরফে নিয়মিত মেডিক্যাল বুলেটিনে যাবতীয় বিষয়গুলো জানানো হবে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।দীর্ঘদিন ধরেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অসুস্থ। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মাঝে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। শ্বাসকষ্ট, সিওপিডিও এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যায় রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটার পর পরিবারের লোকজন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে খবর দেন। তারপরই হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন পাম এভিনিউয়ের বাড়ি থেকে বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ক্রিটিক্যাল কেয়ারের অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে আনা হয় হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন সপ্তর্ষি বসু-সহ দুজন চিকিৎসকও। এরপর গ্রিন করিডরে অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আনা হয় দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন বাড়িতে রুটিন চেক আপে ধরা পড়ে মুখ্যমন্ত্রী অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যাপারে বরাবর অনীহা রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।

জুলাই ২৯, ২০২৩
রাজ্য

হিংসা ছড়াচ্ছে ও কন্ট্রোল রুমে বসে যে রাজনীতিকরা রিমোট চালাচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ: রাজ্যপাল

পঞ্চায়েত ভোটে মারাত্মক হিংসা র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তখনও ভর্ৎসনা করেছিলেন কমিশনারকে। রাজীব সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সরজমিনে ঘুরে পরিস্থিতি যাচাই করেছেন। দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে গণনার দিনও একই রুটিন ছিল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। তারপরই বাংলার ভোটে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে মূল দুটি বিষয়ের বিরুদ্ধে ধর ডাক দিলেন রাজ্যপাল।কী বলেছেন রাজ্যপাল?রাজভবনে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে ভোট হল বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই। ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসা বা ঘৃণা তৈরি হওয়া ঠিক নয়। এখন আমাদের ভেদাভেদ ভুলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। নির্বাচন ব্যালটে লড়া উচিত, বুলেটে নয়। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার নামই গণতন্ত্র। যে পিছিয়ে পড়বে তাকেও হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আমরা এসঙ্গে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবই। যেমন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বলেছিলেন, আমরা করব জয় নিশ্চয়।পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিকে রাজ্যপালের পরামর্শ, রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের এই মুহূর্তে ২টি লক্ষ্যে কাজ করা উচিত। প্রথমত, দুটি মূল শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে হবে তাদের। সেগুলি হল হিংসা ও দুর্নীতি। আমরা এই নির্বাচন থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমার বিশ্বাস এর পর হিংসা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ শুরু হবে।ভোটে হিংসার বিরুদ্ধে এদিন সকালে রাজ্যপাল বলেছিলেন, যারা হিংসা ছড়াচ্ছে এবং কন্ট্রোল রুমে বসে যে রাজনীতিকরা রিমোট চালিয়ে এই হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। অল-আউট অ্যাকশন নেওয়া হবে। প্রশাসন কড়া হাতে এই হিংসা প্রতিহত করবে।প্রতিটি সন্ন্যাসীর অতীত রয়েছে, প্রতি পাপীর ভবিষ্যৎ রয়েছে। আজ যারা বাজে কাজ করছেন, ভবিষ্যতে তারাই ভালো কাজ করতে পারেন। আজকের হিংসা ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য নেতিবাচক। তবে আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাংলাকে নিরাপদ জায়গায় পরিণত করে তুলব।

জুলাই ১১, ২০২৩
রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক হিংসা, দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল!!

রাজ্যের বেহাল পরিস্থিতির কথা জানাতে এবার দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক হিংসা হয়েছে। তা নিয়ে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। জবাবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছিলেন যে তিনি একজন রাজ্যপালের যা কর্তব্য সেটা করবেন। আর তারপরেই জানা গেল তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল। তারফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্যপাল তাঁর কর্তব্য করতেই দিল্লি যাচ্ছেন? তিনি কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টে দেবেন? রিপোর্ট দেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।এবারের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা রুখতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গোড়া থেকেই ছিলেন সক্রিয়। বিরোধীদের মুখ থেকে হিংসার আশঙ্কার কথা তিনি শুনেছেন। পাশাপাশি, রাজ্যে পঞ্চায়েতের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক খুনের ঘটনাও খতিয়ে দেখেছেন। বিরোধীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন একদিনে করা হয়েছে। তারপরই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে তিনি কড়া কথায় সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, রাজীব সিনহাকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করে তিনি হতাশ হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার যেন নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করেন, সেই নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত ভোটের দিন শনিবার রাজ্যপাল নিজে হিংসার খবর পেয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে বের হয়েছিলেন। যার তীব্র বিরোধিতা করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল বলেছিলেন যে, ভোট বুলেটে নয়। ব্যালটে হওয়া উচিত। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত অন্যান্যবারের মত এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনও রক্তাক্ত অবস্থায় শেষ হয়েছে। নির্বাচনে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ব্যালট বাক্স লুঠ হয়েছে। ভোটকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও বহু আহত চিকিৎসাধীন। এরপর রবিবার বিকেলে রাজ্যপালের দিল্লি যাওয়ার কথা জানা গিয়েছে।

জুলাই ০৯, ২০২৩
রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা অব্যাহত, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদে

এর আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার খড়গ্রামে নিহত কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ সেখের বাড়িতে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন ৯ জুন নিহত হয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ সেখ। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে বিচার চাইল নিহত কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদের পরিবার। তাঁরা রাজ্যপালকে জানালেন নিরাপত্তাহীনতার কথা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন মৃত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান ফুলচাঁদ শেখের স্ত্রী এসমিনা খাতুন।ফুলচাঁদ শেখের দাদা বাণি ইসরাইলের দাবি, হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। ভোট দিতে গেলে অশান্তি হবে বলে ভয় দেখাচ্ছে। এদিন পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল, দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাস। শুক্রবার দুপুরে খড়গ্রাম ও নবগ্রামের সফর শেষ করেই মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যান্য প্রান্তেও যাবেন।

জুলাই ০৭, ২০২৩
রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার বলি বেড়েই চলেছে, ক্ষিপ্ত রাজ্যপালের তোপ কমিশনারকে

পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, হত্যা অব্যাহত। এদিন রাজ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হিংসা নিয়ে আগেও ন্রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার ফের সরব হয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। কাল বাদ পরশু রাজ্যে ভোট। তার আগে বেনজিরভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নিন্দার মুখর হলেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপাল এদিন নিজের ভাষণে কখনও মহাভারত, কখনও শেক্সপিয়ার, আবার কখনও টিএন সেশন, স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতিচারণ করেছেন।রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, আমি ভেবেছিলাম, বাংলার গ্রামে মঞ্চে গিয়ে দেখব, চিত্ত হেথায় ভয় শূন্য, উচ্চ হেথায় শির। কিন্তু এসে দেখলাম একেবারে উল্টোটা। মানুষের মনে ভয়, মাথা হেঁট হয়ে আছে। গ্রামে গিয়ে বিধবার কান্না শুনেছি, পুত্রহারা মায়ের কান্না দেখেছি। কী করে এসব বন্ধ হবে, যখন রক্তাসুরের হাতেই ক্ষমতা। তবে মনে রাখতে হবে, রক্তাসুর থাকলে মহাকালীও থাকবে। নরক থেকে শয়তান উঠে এসেছে, তারা নৃত্য করছে, ক্যানিং, ভাঙড়, বাসন্তী, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। শয়তানরা এখন সব এখানেই।কমিশনারকে কটাক্ষ, আমি আপনাকে নিয়োগ করেছি, আর আপনি আমাকে হতাশ করেছেন। আপনি কর্তব্য পালনে ফেল করেছেন। রাস্তায় যে শবদেহ পড়ে আছে তার জন্য আপনিই দায়ী। আপনি কি অশ্বথামা হতে চান? রাতের অন্ধকারের চোরের মতো ঢুকে পাণ্ডবদের ছেলেমেয়েকে যে কুচিয়ে কেটেছিল, নাকি আপনি জুজুৎসু হবেন, যিনি অর্ধমকে ছেড়ে এসেছিলেন। ভোটে আধাসামরিক বাহিনীর যথাযথ মোতায়েন, রুট মার্চ, স্ট্রং রুম পাহারা দেওয়ার বিষয়গুলি নিয়ে কমিশনারকে পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল।তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, গোটা রাজ্যে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে মাত্র ৭-৮টা বুথের ঘটনা নিয়ে এত প্রলাপের কোনও অর্থ হয় না। রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে রাজনীতি করছেন।

জুলাই ০৭, ২০২৩
রাজনীতি

কমিশনে গিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে নিজে হাতে ব্যারিকেডের দড়ি খুললেন বিরোধী শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে বেনজির দৃশ্য দেখা গেল। যেসব প্রার্থী মনোনয়ন জমা করতে পারেননি তাঁদের নিয়ে কমিশনের দফতরের সামনে হাজির হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কর্মীদের নিয়ে সেই সময় হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এরপরই কলকাতায় কমিশন দফতরেরর সামনে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। কমিশনের দফতরে বিজেপি নেতা-কর্মীরা যাতে ঢুকতে না পারে তার জন্য পুলিশ আগে থেকেই ব্যারিকেড করে রেখেছিল। প্রথমে সেই ব্যারিকেড নিজে হাতে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে ব্যারিকেডের দড়ি খুলে দেন নিজে হাতে।এরপর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে কমিশন দফতরে ঢোকেন কথা বলতে। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এসে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য বলে কটাক্ষ করেন। শুধু তাই নয়, কমিশন তৃণমূলকে সুবিধা করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও রোজ কীভাবে রক্ত ঝরছে? প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল, কমিশন এবং পুলিশ মিলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মনোনয়ন জমা দিতে দিচ্ছে না। ২০ হাজর আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়াই এদের লক্ষ্য।একটা সময় উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। কমিশনের দফতরের সামনেই জয় শ্রী রাম স্লোগান চলতে থাকে। রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে হায় হায় ধ্বনি দেওয়া হয়। শুভেন্দুর দাবি, আদালত স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু স্পর্শকাতর এলাকা বলে কিছু রয়েছে, তা মানতেই চাইছে না কমিশন। হাইকোর্ট অভিযোগ জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেও, কমিশনে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই।শুভেন্দুর দাবি, যাঁর মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, কমিশনের দফতরেই তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে। আশান্তি রুখতে ও মনোনয়নে অশান্তি থামাতে কমিশন পদক্ষেপ না করলে বৃহস্পতিবার থেকে কমিশন দফতরের সামনে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনও তাঁর মুখে নো ভোট টু মমতা সুর শোনা যায় নির্বাচন ল কমিশনের দফতরে। মমতাকে ভোট লুঠ না করতে দেওয়াই তাঁর চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করেন তিনি।

জুন ১৪, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বাজেট ভাষণে ক্ষুব্ধ বিজেপি, এক বছরেই উলোট-পূরাণ

রাজ্যপাল হায় হায় বলে স্লোগান দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের দেওয়া লিখিত ভাষণ পাঠ করা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। রাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন চোর ধরো জেল ভরো স্লাগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের ভাষণের কপি। ওয়াকআউট করে বিজেপি বিধায়করা। এমনকী রাজ্যপাল বিধানসভা চত্বরে গাড়িতে ওঠার সময়ও গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন।এর আগে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সময় বিপরীত দৃশ্য দেখা যেত। তখন রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাত তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়করা, এখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে বিজেপি বিধায়করা। একেবারেই উলোট-পূরাণ।গতবছর ২০২২ রাজ্য বাজেট অধিবেশনে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ভাষণ না পাঠ করেই বিধানসভার কক্ষ ত্যাগ করছিলেন। তখন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, শিউলি সাহারা ঘেরাও করে ফেলেছিলেন ধনকড়কে। কোনওরকম ভাবে নামকা ওয়াস্তে রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণ পাঠ করে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর চোখের ইশারায় তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা এমন কান্ড ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখন বিজেপির স্লোগান-বিক্ষোভের সমালোচনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল বদলে যেতেই বদলে গেল বিধানসভার পরিস্থিতি। এমনকী রাজভবনকে তৃণমূল বলত বিজেপির সদর দফতর। এখন পরিস্থিতির অনেকটাই বদল ঘটেছে। জগদীপ ধনকড় রাজ্যপালের পদ ছেড়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস।২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। তখনও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে বিজেপি। তারপর সেন্ট জেভিয়ার্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডি লিট প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন রাজ্যপাল।মোদ্দা কথা রাজ্যপালের কর্মকান্ডে খুশি নয় বঙ্গ বিজেপি। এখনও অবধি রাজ্যপালের অবস্থানে তৃণমূল স্বস্তিতে।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
রাজ্য

বাংলায় স্থায়ী রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস

স্থায়ী রাজ্যপাল পেল পশ্চিমবঙ্গ। কেরলের বাসিন্দা ড. সিভি আনন্দ বোস নয়া রাজ্যপাল হচ্ছেন বাংলায়। অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অস্থায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। এমনকী অভিযোগত্র তুলে দেওয়ার সময় রাজ্যপাল ছিলেন না রাজভবনে। রাজ্যপালের সেক্রেটারির কাছে দাবি সনদ পেশ করেন শুভেন্দুরা। এরপরই ঘোষণা হল বাংলার নয়া রাজ্যপালের নাম।I heartily welcome the appointment of Dr. C V Ananda Bose; IAS (Retd.) as the Honble Governor of West Bengal.An eminent Civil Servant, he accomplished great feats in his career. Before retirement he served as the Chief Secretary Secretary to Government of India. pic.twitter.com/TF13XTlaFN Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 17, 2022৭১ বছরের ডঃ সি ভি আনন্দ বোস পেশায় প্রাক্তন আইএএস অফিসার। জেলা থেকে রাজ্যস্তরের প্রশাসনে নানা সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এখন আনন্দ বোস মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন। নয়া রাজ্যপাল জানিয়েছেন বাংলার সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এরাজ্যেই। সেখানেই এবার রাজ্যপালের দায়িত্বভার সামলাবেন

নভেম্বর ১৭, ২০২২
দেশ

চেন্নাইতে বাংলার রাজ্যপালের বাড়িতে ঢোলে কাঠি মমতার, মুখ্যমন্ত্রীর সফরে রাজনীতি দেখছে বিরোধীরা

কলকাতার দুর্গাপুজোর ছবি ভেসে উঠল চেন্নাইতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে কাঁধে ঢাক তুলে নিয়েছিলেন। তারপর টানা দুকাঠি দিয়ে ঢাক বাজিয়েছেন। এবার চেন্নাইতে গিয়ে রাজ্যপাল লা গণেশনের দাদার জন্মদিনে ঢোল বাজালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ওই দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছেন তামিলনাড়ুবাসী।কালীপুজোর দিন মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কালীঘাটে গিয়েছিলেন রাজ্যাল লা গণেশন। সেদিনই তামিলনাড়ুর বাড়িতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ করে এসেছিলেন লা গণেশন। সই উপলক্ষ্যেই তামিলনাড়ু ছুটে গিয়েছেন মমতা। সেখানে গিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছেন মমতা। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, লা গণেশনের দাদার জন্মদিনে তামিলনাড়ু যাওয়া বাহানা ছাড়া কিছুই নয়। তিনি গিয়েছিলেন স্টালিনের সঙ্গে দেখা করতে। অথচ রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না মমতা। যেহেতু স্টালিন রাহুল গান্ধীর মিছিলে হেঁটেছেন, তাই তাই তড়িঘড়ি তামিলনাড়ু গিয়েছেন মমতা। বিজেপির বক্তব্য, এসব দৌঁড়ঝাপ করে কিছু হবে না। লোকসভার ভোট এগিয়ে আসার আগে এমন ছোটাছুটি করেন।এদিকে বিরোধীদের সমালোচনা করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢোল বাজিয়ে মাতিয়ে দিয়েছেন। দক্ষিণ ভারতীয়রা এই বাজনাকে ছেন্দা বলে। লা গণেশনের বাড়িতে ঢোকার সময় ছেন্দা বাজিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাচ্ছিল। প্রথমে তিনি শোনেন।তারপর নিজেই ছেন্দা বাজাতে শুরু করেন। কলকাতায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে ঢাক বাজিয়েছিলেন মমতা।

নভেম্বর ০৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal